শতফুল বাংলাদেশ একটি স্বপ্ন বাস্তবায়নের হাতিয়ার, সাধারণ মানুষের পরীক্ষিত আশ্রয়স্থল ও সমৃদ্ধির বিকাশমান ফল্গুধারা। সমাজের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবী এ প্রতিষ্ঠানটি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এটি নানামুখী সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে স্থানীয় তথা জাতীয় উন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখে চলেছে। প্রতিষ্ঠানটির সেবামূলক কার্যক্রমগুলো হচ্ছে, স্থানীয় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে ঋণ সহায়তা প্রদান, শিক্ষা বিস্তার, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, সাংস্কৃতিক বিকাশ, কৃষির আধুনিকায়ন ও প্রাণিসম্পদের বিস্তার, ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, শতফুল স্কুল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্রাণিসম্পদ খামার, সংগীত বিদ্যালয়, নাট্যগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠা। যা, স্থানীয় গণ্ডি ছেড়ে জাতীয় পর্যায়ে প্রশংসিত হচ্ছে। শতফুল স্কুলে বাংলা, ইংরেজি, আরবি’র পাশাপাশি কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। যাতে শিক্ষার্থীগণ বহির্বিশ্বের সাথে পরিচিত তথা বিশ্ব নাগরিক হতে পারে। যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড, কোরিয়ার বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান এ স্কুলের শিক্ষার মানোন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
শতফুল স্কুল মাত্র ০৬ বছরে স্থানীয় অভিভাবক ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের ব্যাপক আস্থা ও প্রশংসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি শতফুল স্কুলের নতুন ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। স্কুলের শিক্ষার্থীগণ এখন ব্যাপক পরিসরে শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি অন্যান্য সহ-পাঠক্রমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, শতফুলের শিক্ষার্থীগণ আগামী দিনে মানসম্মত শিক্ষা গ্রহণসহ মানবিক বোধসম্পন্ন মানুষ হয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক অবদান রাখবে। আমি শতফুল বাংলাদেশ তথা এর অঙ্গসংগঠন বিশেষ করে শতফুল স্কুলের উত্তরোত্তর উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।
দারিদ্র্য বিমোচন, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও মনুষ্যত্ব বিকাশে বাস্তবমুখী মানসম্পন্ন শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। শিক্ষার মাধ্যমে একদিকে শিক্ষার্থীর দৈহিক, মানসিক, নৈতিক ও ব্যক্তিত্বের বিকাশ সাধিত হয়। অন্যদিকে এই শিক্ষার ওপর ভিত্তি করেই রচিত হয় জাতিসত্ত্বার কাঠামো।
বর্তমান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহের যুগে বিশ্ব নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা অর্জনই আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ জেতার জন্য সবার আগে চাই সুস্থতা, এরপরে একাডেমিক লেখাপড়া ও সহপাঠ্যক্রমিক শিক্ষার সমন্বিত বাস্তবায়ন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই শতফুল স্কুল সে লক্ষ্য পূরণে অদ্যাবধি সচেষ্ট রয়েছে। মাতৃভাষা বাংলায় দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি সর্বজনীন যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কোরিয়ান ভাষা চর্চার প্রতিও সমান গুরুত্ব প্রদান করে আসছে। সমসাময়িক বিশ্বে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নেতৃত্ব দেবার জন্য আত্মনির্ভরশীল নাগরিক গড়ে তোলার লক্ষে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশে নিরলস পরিশ্রম করছে শতফুল স্কুল। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, প্রত্যন্ত গ্রামীণ জনপদে অবস্থিত সবার প্রিয় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি আগামীর বাস্তবতায় সকলের আশা আকাঙ্খার প্রতীকে পরিণত হতে চলেছে। সবার আন্তরিক সহযোগিতায় এ যাত্রা প্রতিনিয়ত গতিশীল হবে ইন-শা-আল্লাহ।
সবার সুস্থতা কামনা করি, প্রত্যাশা করি আমাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠান ‘শতফুল স্কুল’ স্ব-মহিমায় বিকশিত হোক ।